গতবারের চেয়েও ভালো করে ক্ষমতা ধরে রাখলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। ওদিকে কিছুই করতে পারেননি লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন নেতা পিটার ডাটন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দূরদর্শী চিন্তাবিদ’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন পিটার ডাটন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, যদিও নির্বাচনী প্রচারাভিযানে উভয় নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন দেশের স্বার্থরক্ষাই তাঁদের কাছে প্রধান।
লেবার পার্টির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের উপদেষ্টা এবং সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিসি ল্যাবের পরিচালক কেট হ্যারিসন ব্রেনান জানান, ডাটনের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত কিছু নীতি অনুসরণ করেছিল। তাঁর মতে, 'ট্রাম্প অবশ্যই নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছেন।'
শনিবার (৩ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ৭৬টি আসন প্রয়োজন ছিল। সেখানে আলবানিজের লেবার পার্টি ৮৫টি আসনে জয়লাভ করে। গতবার তাঁরা ৭৭টি আসনে জয়লাভ করে। এদিকে গত নির্বাচনে লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন ৫৩টি আসন পেলেও এবার পেয়েছে মাত্র ৩৬টি আসন।
হ্যারিসন ব্রেনান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ট্রাম্পের সময় যে অস্থিরতা দেখা গেছে, তা অস্ট্রেলিয়রাও দেখেছে।' এতে আলবানিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা সহজ হয়েছে যে, এমন এক অস্থির সময়ে তিনি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর নেতৃত্ব দিতে পারবেন।'
গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক পল উইলিয়ামস মনে করেন, ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত ছিল লেবার পার্টির জন্য এক টার্নিং পয়েন্ট। তিনি বলেন, 'এটা খরচ-জীবনঘনিষ্ঠ একটি নির্বাচন ছিল, তবে মজুরি যে ধীরে ধীরে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে, সেটাই পরিস্থিতি পাল্টেছে।'
উইলিয়ামস জানান, ডাটন কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎ চালু করার কথা, তবে সেগুলো ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা থেকে কাজ করা বন্ধের একটি প্রস্তাবও দ্রুত প্রত্যাহার করে নিতে হয় তাঁকে, যা নারী ভোটারদের বিরূপ করেছে।
Tags
আন্তর্জাতিক