" ইউক্রেনে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন পুতিন "

ইউক্রেনে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তিনদিনের এক সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছেন। সোমবার ক্রেমলিন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি ৮ মে সকালে শুরু হয়ে ১১ মে পর্যন্ত চলবে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় উদ্যাপনের সময়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

ক্রেমলিনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে’ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইউক্রেন এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেনেরও এই উদাহরণ অনুসরণ করা উচিত। যদি ইউক্রেন পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তবে রুশ বাহিনী যথাযথ এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাবে। এ ছাড়া, রাশিয়া আবারও শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ দূর করা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপন করা। ক্রেমলিন গত মাসে ইস্টারের সময়ও ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। উভয় পক্ষই সংঘর্ষের সময় কিছুটা কমার কথা জানিয়েছিল। তবে একে অপরকে শত শত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছিল।  বর্তমানে দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে। যার মধ্যে ২০১৪ সালে মস্কোর দখলে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপও রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই সেনা সদস্য।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সেদেশের কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের দখলে থাকা এলাকা পুনরুদ্ধারে সাফল্যের জন্য সোমবার উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন এবং দেশটির নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পুতিনের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্রেমলিন বলেছে, উত্তর কোরীয় বন্ধুরা সংহতি, ন্যায়বিচার এবং প্রকৃত সৌহার্দ্যের অনুভূতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে কাজ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এর জন্য অনেক কৃতজ্ঞ এবং ব্যক্তিগতভাবে কমরেড কিম জং উন এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ শনিবার উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের বীরত্বের প্রশংসা করেন। তারা ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর দলকে পরাজিত করতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। সোমবার উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের সৈন্যরা মস্কোকে কুরস্কের অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে জানিয়েছে যে, পিয়ংইয়ং গত বছর কুরস্কে সাহায্য করার জন্য ১০ সহস্রাধিক সৈন্য পাঠিয়েছে।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال