" চোখের সামনে প্রিয়জনের লাশ, চান প্রতিশোধ! সেনাবাহিনীর সাথে এবার যুদ্ধে নামবে পাকিস্তানি জনতা "

চোখের সামনে প্রিয়জনের লাশ, চান প্রতিশোধ! সেনাবাহিনীর সাথে এবার যুদ্ধে নামবে পাকিস্তানি জনতা

ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পাকিস্তানজুড়ে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের দাফন ও শেষকৃত্যের পাশাপাশি তাদের স্মরণে চলছে শোক পালনের নানা আয়োজন।

নিহতদের শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। জানাজায় অংশ নিচ্ছেন হাজারো মানুষ। অনেকেই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না—রাতের আঁধারে চালানো আকস্মিক এই হামলায় তাঁরা হারিয়েছেন আপনজনদের। অনেকেই চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু দেখতে বাধ্য হয়েছেন।

শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আহ্বান—এই হামলার জবাব যেন যথাযথভাবে দেওয়া হয়। আজাদ কাশ্মীর থেকে শুরু করে গোটা পাকিস্তান একত্রিত হয়ে সেনাবাহিনীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে জনগণ।

ভারত দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের অভিযোগ, মূল টার্গেট ছিল বেসামরিক স্থাপনা—মসজিদ, স্কুল ও সাধারণ বসতবাড়ি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “গত রাতে ওরা একটি মসজিদে হামলা চালায়। তখন সেখানে একজন ইমাম, এক খাদেম এবং এলাকার একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনজনই শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ যেন তাদের শাহাদাত কবুল করেন।”

আরেকজন বলেন, “মসজিদের ঠিক পেছনেই আমাদের বাড়ি। মাঝরাতে হঠাৎ হামলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পাশের স্কুলটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছাদের অংশ ভেঙে পড়েছে, জানালা ও দরজা গুঁড়িয়ে গেছে। শিশুরা এখনো আতঙ্কে আছে।”

এই অবস্থায় পাকিস্তানের জনগণ নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি হামলার পালটা জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال