বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও তা সবাই উপভোগ করতে পারেনি। উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু তা জনগণের সবার জন্য নয়। গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও তাতে জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ায় 'কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা যারা রাজনীতি করি, বিশ্বাস করুন, দেশের ও মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যেই রাজনীতিতে এসেছি। আমাদের কারো উদ্দেশ্য ব্যক্তিস্বার্থ নয়। আমি মনে করি, যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা দেশের প্রতি দায়বদ্ধ এবং দেশের মানুষের উন্নয়ন চান।”
তিনি বলেন, “আমাদের ভিন্ন পথ, ভিন্ন মত থাকতে পারে, কিন্তু লক্ষ্য একটাই-দেশ ও মানুষের মঙ্গল। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমান ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন, মানবিক ও অগ্রসর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত ভাঙন ঠেকাতে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এসব প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সবার জন্য নিশ্চিত করা।
বক্তব্যে বিএনপির এ নেতা বলেন, “আমার আজকের বক্তব্যের মূল লক্ষ্য বিএনপির কর্মীরা নন, বরং তারা যারা এখনো আমাদের দলে নেই কিন্তু দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন চান। আমি তাদের উদ্দেশেই বলছি। শহীদ জিয়া বলতেন, জনগণের গণতন্ত্র সবার জন্য উন্নয়ন। অথচ আজ আমরা এমন একটি বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু তা সবার জন্য নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা হলেও সবাই এর অংশ হতে পারেনি।”
জনগণকে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, “আপনারা যারা সচেতন নাগরিক, আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা শুধু কথার ওপর নির্ভর করবেন না। যিনি যাই বলুন, তাকিয়ে দেখুন, তার অতীতে কী কাজের উদাহরণ আছে। যিনি উন্নয়নের কথা বলছেন, তিনি আগে কি তা করে দেখিয়েছেন? তার সেই সক্ষমতা, সেই যোগ্যতা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখুন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, অনেকেই নানা স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু যিনি সত্যিকারের পরিবর্তন চান, যিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তাকেই আপনারা বিবেচনায় আনুন। আমি বিশ্বাস করি, সেই বিবেচনায় বিএনপি এগিয়ে থাকবে।”