" পরমাণু ইস্যুতে তেহরানের হুঁশিয়ারি, ওমান বৈঠকে কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্র? "

পরমাণু ইস্যুতে তেহরানের হুঁশিয়ারি, ওমান বৈঠকে কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্র?

পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ না করলে ইরানকে দিতে হবে চরম মূল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছেন, দরকার হলে নেয়া হবে সামরিক পদক্ষেপ। অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে চাপ দিয়ে দমানো যাবে না তাদের। পশ্চিমাদের চোখরাঙানি, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আর বারংবার যুদ্ধের হুমকি দিয়েও তেহরানকে হারাতে পারছে না আমেরিকা। 

পারস্য উপসাগরের নিরপেক্ষ দেশ ওমানে দুই দেশের সাম্প্রতিক বৈঠকের জেরে কোন দিকে গড়াবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সর্বোচ্চ চাপ অর্থনৈতিক অবরোধের মত নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও ইরান যে শুধু টীকে আছে এমন নয়। বরং দেশটি এখন আত্মপ্রকাশ করেছে পরমাণু প্রযুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক অনন্য শক্তি হিসেবে। তেহরানের এমন শক্তির পেছনে আছে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পশ্চিমাবিরোধী অনড় ভূমিকা। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ হুইটকফ ওয়াল স্ট্রীট জার্নালকে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন ইরানকে ছাড় দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা মনে করছেন আক্রমণের হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে সমাধান খুঁজছে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি ইরানের শক্ত প্রতিরোধ ও মোক্ষম চালের কারণেই সুবিধা করে উঠতে পারছে না ট্রাম্প প্রশাসন। 

সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে না বসলেও মধ্যস্থতাকারী ওমানের মাধ্যমে নিজেদেদ বক্তব্য তুলে ধরেছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা কড়া ভাষায় জানিয়েছেন বাইরের হুমকি অব্যাহত থাকলে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের ইরান থেকে বের করে দেয়া হবে। পাশাপাশি অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হবে ইউরেনিয়াম। দরকার হলে স্থগিত করা হবে সব ধরণের সহযোগিতা। শীর্ষ পর্যায়ের এই ইরানি নেতার দেয়া এমন বিবৃতি ইঙ্গিত দিচ্ছে কোনো কিছুতেই আর পিছু হটবে না ইরান। 

২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় পরমাণ্য চুক্তি থেকে ট্রাম্পের সরে যাওয়ার পর নিজেদের পারমানবিক ক্ষমতা বিস্তারে মনোযোগ দেয় ইরান। এর ফলে আরব বিশ্ব যখন ব্যস্ত আমেরিকার তোষামদে, তখন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মুসলিম রাষ্ট্র ইরান। ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রমান করছে মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত ব্যর্থ হচ্ছে মার্কিন কূটনীতি। বিশ্লেষকরা বলছেন ইরান আর এখন ২০১৫ সালের ইরান নেই। তখন দেশটি ছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত। কিন্তু বিকল্প পথ তৈরি, শক্তিশালী প্রক্সি নেটওয়ার্ক ও নতুন নতুন মিত্রদের নিয়ে কৌশলী খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে তেহরান।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال