" ইসরায়েলের হামলা ও সিরিয়ান বিদ্রোহী জোটের নীরবতা "

ইসরায়েলের হামলা ও সিরিয়ান বিদ্রোহী জোটের নীরবতা

Random Manga


এবং তারা গৃহযুদ্ধে অভ্যস্ত। তাদের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক প্রযুক্তি এবং বাহিনী নেই। এতে করে, ইসরায়েলের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করতে বিদ্রোহীরা সক্ষম নয়।


৫. ইরান ও হিজবুল্লাহর সমর্থন


আসাদ সরকারের মিত্র হিসেবে ইরান এবং হিজবুল্লাহ রয়েছে, যারা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য অপ্রতিরোধ্য শত্রু। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা জানে যে, ইসরায়েলের হামলা আসাদ সরকারের শত্রুদের ক্ষতি করতে পারে, যা পরোক্ষভাবে তাদের সুবিধা দেবে। তাই, তারা ইসরায়েলের হামলাকে নিজেদের কৌশলগত অবস্থান হিসেবে দেখছে। বিদ্রোহীরা মনে করে, ইসরায়েল আসাদ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যা তাদের জন্য পরোক্ষভাবে সহায়ক হতে পারে।


৬. জনমত ও সামরিক কৌশল


সিরিয়ার সাধারণ জনগণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দেখতে চায়, কিন্তু বিদ্রোহীরা তাদের সীমিত শক্তির কারণে এই ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না। তারা জানে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করা তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে এবং তাদের অবস্থানকে আরও দুর্বল করবে। এ কারণে, বিদ্রোহীরা চুপ করে থাকে এবং তারা জানে যে, ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে কিছু না করলেই তাদের জন্য কম ঝুঁকি রয়েছে।


সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ইসরায়েলের হামলায় নীরব থাকার পেছনে একাধিক কৌশলগত, সামরিক এবং রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। তারা এখনো আসাদ সরকারের পতন এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ব্যস্ত এবং সে কারণেই ইসরায়েলের হামলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো সামর্থ্য বা ঐক্য তাদের নেই।


তবে, এই নীরবতা দীর্ঘমেয়াদে তাদের জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

Ads

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال