" ৭২ ঘণ্টায় তেল আবিবে পৌঁছাবে তুরস্ক! "

৭২ ঘণ্টায় তেল আবিবে পৌঁছাবে তুরস্ক!

 

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। গাজায় চলমান সংকটের মধ্যে ইসরায়েলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা— ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তেল আবিবে পৌঁছাতে পারে তুরস্কের সেনাবাহিনী, এমন পূর্বাভাসে আলোড়ন ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।

তুরস্কের বিশ্লেষক হাকান বায়রাচ্চি এক বিস্ফোরক মন্তব্যে জানান, “আঞ্চলিক ভারসাম্য উল্টেপাল্টে দেয়ার মতো সক্ষমতা তুরস্কের রয়েছে। চাইলে মাত্র ৭২ ঘণ্টাতেই তুরস্কের সেনাবাহিনী তেল আবিবে পৌঁছাতে পারবে।” এই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে পড়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

এদিকে, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন। মার্কিন সেনারা সিরিয়া ত্যাগের নির্দেশ পেয়েছে এবং ধাপে ধাপে তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেক্সে ঘোষণা করেছেন, সিরিয়াতে থাকা প্রায় ২০০০ মার্কিন সেনার মধ্যে ১০০০ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। যদিও সেন্টকম জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে।

এই মুহূর্তে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ঠিক এমন সময়ে তুরস্কের পক্ষ থেকে উঠে এসেছে সরাসরি হস্তক্ষেপের বার্তা। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে তুরস্ক, এমনকি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। সেখানে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিককরণ ও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনা হয়। হামাসের রাজনৈতিক কাউন্সিল প্রধান মোহাম্মদ দারউইশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তুর্কি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে—ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা হলে তুরস্ক প্রতিরোধে নামবে।

এই ঘোষণার মাধ্যমে আবারও গাজার নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল এরদোয়ান প্রশাসন। আলোচনার স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও গণমাধ্যম সূত্র বলছে, এই গোপন বৈঠকটি তুরস্কেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দুই পক্ষই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

গাজার দুঃস্বপ্নের প্রেক্ষাপটে তেল আবিবের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এক নতুন শক্তি—তুরস্ক। এখন সময় বলবে, এই সামরিক হুমকি বাস্তবে রূপ নেবে কি না। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ভঙ্গুর রাজনীতিতে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال